Author: CJshoes

কেডস শব্দটি আসলো কোথা থেকে ?

আসেন আজকে একটু জ্ঞান শেয়ার করি ।

আমরা ছোট বেলা থেকে কেডস শব্দটা শুনে আসছি .জাম্প কেডস /বেলি কেডস বা রানিং জগিং স্পোর্টস ধাচের জুতাগুলোকে আমরা কেডস বলে থাকি । কিন্তু মজার কথা কি জানেন?

কেডস বলে্ আসলে জুতাতে কোন ক্যাটাগরিই নাই ,মটরসাইকেলকে যেমন আমরা ছোট বেলা থেকে হোন্ডা নামে জানতাম বিষয়টা ঠিক এমন । হোন্ড জাস্ট একটা মটরসাইকেল কোম্পানি। তেমনে কেডস ১৯১৬ সালে জন্ম নেয়া একটা জুতার কোম্পানি যার কেডস ব্র্যান্ড নামে জুতা বিক্রি করে। কেডস কোম্পানির নাম সে সময়ে বিশ্বে এত ছড়িয়ে পড়ে যে জুতার নামই হয়ে যায় কেডস যেমনটা মটরসাইকেলকে মানুষ হোন্ডা বলে ডাকে।

কেডস নামে আমরা যেসব জুতা জানি সেটার সঠিক নাম আসলে স্নিকার্স / স্পোর্টস সু /রানিং সু ইত্যাদি।

১৯১৬ সালের সে কেডস কোম্পানি বহু বছর দাপটের সাথে ব্যবসা করলেও পরে নাইকি এডিডাসের প্রভাবের কারণে মার্কেট শেয়ার হারাতে থাকে । তবে কোম্পানিটি এখনো টিকে আছে তবে আগের সেই জুলুস নেই ।

আশা করি নতুন কিছু জানতে পেরেছেন চরণযুগলের মাধ্যমে।

জুতার শেপে চার্চ-যার পিছনে মর্মস্পর্শী কাহিনী

এটার নাম High-Heel Wedding Church !!!

মেয়েদের হাই হিল শেপে তৈরি করা তাইওয়ানে অবস্থিন একটি চার্চ তবে এটা শুধু বিয়ের কাজেই ব্যবহার করা হয়। মেয়েদের হাইহিল শেপে তৈরি এই চার্চটি এর মাঝেই তাইওয়ানের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

তবে মেয়েদের জুতার আদলে এই চার্চ নির্মাণের পেছনে আছে স্থানীয় এক তরুণীর করুণ জীবন কাহিনী।

তাইওয়ানে অবস্থিত হাই হিল ওয়েডিং চার্চ

১৯৬০ সালে এখানকার এক দরিদ্র তরুণী ওয়াং ‘ব্ল্যাকফুট’ রোগে আক্রান্ত হয়। তার দুই পা তখন কেটে ফেলতে হয়। এর ফলে তার বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।

মেয়েটি স্থানীয় এক চার্চে কাজ করতো এবং এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই পা কেটে ফেলার কারণে তার আর কখনোই বিয়ে হয়নি।

বলা হচ্ছে হাই হিল আকৃতির এই চার্চ সেই মেয়ের স্মরণে তৈরি করা হয় ২০১৬ সালে।

চরণযুগলের অফিসের বিস্তারিত ঠিকানা

অনলাইন ছাড়াও আমাদের শোরুমে সরাসরি কেনাকাটা করতে পারবেন:

সপ্তাহে সাতদিনই চরণযুগল খোলা থাকে।

শনি থেকে বৃহষ্পতি মোট ছয়দিন খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত।

শুক্রবার খোলা থাকে বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত।

✅আমাদের বর্তমান ঠিকানা :
মিরপুর ১০ পপুলার ডায়গনিস্টিক সেন্টার ইউনিট ২ এর ঠিক সাথেই ওয়ালটনের একটা শো রুম আছে । ওয়ালটন শোরুম বিল্ডিং এর চার তলায়। ওয়ালটন শোরুম এর সাথের সিড়ি দিয়ে চারতলায় চলে আসবেন।

আর যারা মেট্রো রেলে আসবেন তারা মিরপুর ১০ মেট্রো স্টেশনের গেট A দিয়ে বের হলেই পপুলার ডায়গনিস্টিক ইউনিট ২,এর সাথে ওয়ালটন শোরুম এর চারতলায়।

✅গুগল ম্যাপ লোকেশন https://goo.gl/maps/VHttbknJ5vpUgpCs9
তারপরও না বুঝলে সরাসরি ফোন করবেন আমাদের।
ফোন ০১৮৬৯ ৯৯৯৯৮৯ ০১৮৬২৯২৭৬৪১ ০১৯৭৭৯৬০৯৫৫

যদি নির্দিষ্ট কোন জুতার উদ্দেশ্যে আসেন তাহলে আমাদের থেকে জেনে নিবেন সে জুতাটি স্টোরে আসলে পাবেন কিনা

শপে এসে কোন ধরনের সমস্যা ফেইস করলে অবশ্যই আমাদের এখানে মেসেজ দিয়ে জানাবেন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো

✅পেমেন্ট : রকেট নগদ বিকাশ ক্যাশ (মার্চেন্ট পেমেন্ট তাই অতিরিক্ত কোন চার্জ নেই)

ধন্যবাদ
চরণযুগল

চামড়া বা লেদার জুতার যত্ন নিবেন যেভাবে

বিশ্বজুড়ে যত জুতা তৈরি হয় তার মাঝে যতগুলো কাঁচামাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে একটা কাঁচামাল হলো চাঁমড়া ,টেকসই রুচিশীল জুতা তৈরিতে চামড়ার বিকল্প নেই তাইতো বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো চামড়ার দিয়ে তৈরি করে চমৎকার সব জুতা।জুতা তৈরি করার পর তা তার সঠিক যত্নই পারে দীর্ঘসময় পর্যন্ত জুতাটিকে ভালো রাখতে আর তাই চামড়ার জুতার বেশ কিছু টিপস আজকে শেয়ার করবো যাতে আপনার কেনা জুতাটি আরও টেকসই হয়।

  • চামড়ার জুতার বড় শত্তু হলো পানি ,তাই চামড়ার জুতাকে অবশ্যই পানি থেকে দুরে রাখবেন ,যদি পানি লেগে যায় তাহলে দ্রুত সুন্দরভাবে শুকিয়ে নিবেন । এক্ষেত্রে ভালো হয় কোন টিস্যু বা খবরের কাগজ দিয়ে মুছে পানি সরিয়ে নেয়া কারণ টিস্যু বা খবরের কাগজ দ্রুত পানি শুষে নেয়। অনেক সময় ভিতরের দিকেও পানি ঢুকে যায় সেক্ষেত্রে খবররে কাগজ গুছে দিতে পারেন ভিতরে যা সহজেই পানি শুকিয়ে নিবে । তারপর কোন আদ্র জায়গাতে জুতাটি আরও ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে পারেন।
  • বর্ষা মৌসুমে লেদারের জুতা ব্যবহারে বিশেষ খেয়াল রাখবেন জুতা যদি বার বার ভিজে যায় এক্ষেত্রে জুতার স্থায়ীত্ব কমে যেতে পারে তাই বর্ষাতে সাবধানে লেদারের জুতা ব্যবহার করবেন।
  • জুতা পরিষ্কারে ব্রাশের পাশাপাশি সফট কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে মনে রাখবেন ভেজা জুতা প্রেসার দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না এতে জুতার ক্ষতি হবে । আগে সঠিকভাবে জুতাটি শুকিয়ে নিন তারপর সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
  • অনেকে জুতা দিনের পর দিন বাক্সবন্ধি করে রাখে এতে কিন্তু জুতার ক্ষতি হয় জুতা একটু খোলামেলা পরিবেশে ভালো থাকে,স্যাতস্যাতে পরিবেশে জুতার ক্ষতি হয় তারচেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় জুতা সংরক্ষণ করুন
  • এসিতে জুতা ভালো থাকে যাদের বাসায় এসি আছে তারা এসি রুমে জুতা রাখতে পারেন।
  • ঘন ঘন পলিশ করবেন না এতে জুতার টেক্সচারের ক্ষতি হতে পারে ।পলিশের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্রিম পলিশ ব্যবহার করুন।
  • শুকানোর প্রয়োজেন সাধারণ তাপমাত্রায় জুতা শুকাবেন ,অতিরিক্ত হিট দিলে কিন্তু চামড়া কুচকে যেতে পারে
  • জুতা পরিষ্কারে নরম সফট ব্রাশ ব্যবহার করবেন ,শক্ত ব্রাশ জুতার ক্ষতি করতে পারে।
  • অনেকে চামড়ার জুতা পরিষ্কারে কাপড় ভিজিয়ে জোরে জোরে ডলাডলি শুরু করে এটা ভুলেও করবেন না এতে জুতার রং উঠে যেতে পারে এবং জুতার ক্ষতি হতে পারে । চামড়ার জুতা শুকনো সফট কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন এতে জুতা ভালো থাকবে।

মনের রাখবেন জুতার সঠিক যত্নই পারে জুতার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে তাই জুতা কেনার পর অবশ্যই সঠিকভাবে এর যত্ন নিবেন।

এ কেমন জুতা আনছে এডিডাস !!

এই অদ্ভুত জুতাখানা তৈরি করার জন্য যখন মিউজিশিয়ান (র‍্যাপার ) টমি ক্যাশ এডিডাসের কাছে প্রস্তাবটা রেখেছিলো তাও ৫ মাস আগে তখন এডিডাস বেশ অবাক হয়েছিলো !! কিন্তু প্রস্তাবনার ৫ মাস পর এডিডাস উল্টো টমি ক্যাশের কাছে গিয়ে বললো চলো ধামাকা করি !!

জুতাটা আসলে ১ মিটার লম্বা মানে পাক্কা ৩.২৮ ফুট !!!এত লম্বা জুতা বাজারে ছাড়ার চিন্তা এর আগে কেউ করিনি। অনেকে এটাকে সোশ্যাল ডিসটেনসিং জুতাও বলছে। মানে এই জুতা পা দিলে মানুষ আপনার থেকে নিরাপদ দুরুত্বে থাকতে বাধ্য হবে যেটা করোনা স্বাস্থ্যবিধির দিকেই ইঙ্গিত করে।

তবে ভিতরের খবর হলো টমি ক্যাশকে নিয়ে মিউজিশিয়ান বিশেষ করে যারা র‍্যাপ সঙ্গিতের সাথে জড়িত বা তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে নতুন সিরিজের জুতা আনবে এডিডাস আর এর একটা ঝলক হলো এই ১ মিটার লম্বা জুতাটি । এর অনেকগুলো ভার্সন থাকবে অনেকগুলো মডেল থাকবে এবং জুতাগুলোতে টমি ক্যাশের সাইনও থাকবে। এই এক মিটার লম্বার জুতাটিতে ফিঁতার ঘর কয়টি জানেন ? বেশিনা মাত্র ৪০ টি !!

তবে এই নতুন ধরনের জুতার বিজনেসে টমি ক্যাশ বা প্রফিটের কত পার্সেন্ট তার হবে এ বিষয়ে কোন তথ্য এখনো এডিডাস বা টমি ক্যাশ করেনি

দু:খের তুলনা -কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

একদা ছিল না ‘জুতো’ চরণ-যুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে।
ধীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে,
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে !
দেখি তথা এক জন, পদ নাহি তার,
অমনি ‘জুতো’র খেদ ঘুচিল আমার,
পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন
নিজের অভাব ক্ষোভ রহে কতক্ষণ ?

একজন মানুষ সারাজীবনে কতটুকু হাঁটে?

একটা মানুষ প্রতিদিন কতটুকু হাঁটে ?

এ জবাব খুজতে গিয়ে দেখা যায় নানা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ,২০১০ সালের এক রিসার্চে দেখা গেছে একজন আমেরিকান প্রতিদিন এভারেজ ৫১১৭ স্টেপ হাটে আবার সুইজারল্যান্ডের মানুষদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ৯৬৬৫ স্টেপ হাটে আবার জাপানে দেখা গেছে ৭১৬৮ স্টেপ হাঁটে আবার জার্মানীরা ৬৫৩২ স্টেপ হাঁটে বলে জানা যায়।

walking man

২০১৭ সালে এ্যাক্টিভিটি ট্রেকার Argus এ্যাপস তার ৭ লাখ ইউজার ডাটা বিশ্লেষণ করে জানিয়েছিলো যে সবচেয়ে বেশি হাটে হংকং এর মানুষ যারা প্রতিদিন এভারেজে ৬৮৮০ স্টেপ হাটে। তবে এটা যেহেতু এ্যাপস ভিত্তিক তাই মুল ডাটা পাওয়া কঠিন ।

মোটামুটি একটা গ্রহণযোগ্য মতামত হলো বর্তমানে একটা মানুষ প্রতিদিন এভারেজ ৭-৮ হাজার স্টেপ দেয় । হিসাব করে দেখা গেছে একটা মানুষ যদি গড়ে প্রতিদিন ৭৫০০ স্টেপ হাঁটে দেয় এবং সে যদি ৮০ বছর বাঁচে তাহলে সে পৃথিবীকে ৫বার ঘুরে আসার সমান হাঁটে তার সারাজীবনে 🙂

আশা করি তথ্যগুলো আপনাদের ভালো থাকবে 🙂 আপনার পায়ের সঙ্গি হোক চরণযুগল ❤

করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্বের এ কেমন জুতা !!

করোনা রোধ করতে জুতা ? শুনতে অবাক হলেও এমন একটি জুতা তৈরি করেছেন রোমানিয়ার জুতার কারিগর গ্রিগোর লুপ। তিনি এর নাম দিয়েছেন Social Distancing Shoe

গ্রিগোর লুপ

ইউরোপের সাইজ ধরলে এই্ জুতার সাইজ হয় ৭৫ নাম্বার হয় , সাধারণত মানুষজন ৪৮ সাইজ সর্বোচ্চ জুতা পড়ে থাকে।

৩৯ বছর ধরে তিনি রুমানিয়ার ট্রানসিলভেনিয়ান শহরে চামড়ার জুতা তৈরি করে আসছেন মুলত করোনার প্রকোপে তিনি দেখতে পান মানুষজন সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলছেনা ,তা

অদ্ভুত ধাঁচের এই্ জুতাগুলোর এখন পর্যন্ত ৫টি অডার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি এবং প্রতি জোড়া জুতার দাম ১১৫ ডলার করে পড়বে বলেও জানান। কেউ চাইলে তার থেকে প্রি অর্ডারে বানিয়ে নিতে পারে এ জুতাটি।

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী জুতা জোড়া

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাদা দুবাই নামের একটি কোম্পানি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হীরার জুতা বাজারে নিয়ে এসেছে। এই জুতাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি জুতা। নাম দেওয়া হয়েছে দ্য প্যাসন ডায়মন্ড সু।

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল জুতার দাম ১ কোটি ৭১ লাখ ডলার

২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিশ্বের একমাত্র সেভেন স্টার হোটেল বুর্জ আল আরবে ব্যয়বহুল এই জুতার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাসের পরিকল্পনায় এই জুতাটি তৈরি করেছে জাদা দুবাই নামের একটি কোম্পানি। যার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি ১৪৪ কোটির বেশি টাকা)। দ্য সান, খালিজ টাইমস।

এই জুতায় ব্যবহার করা হয়েছে হীরা এবং খাঁটি সোনা। জুতার ওপরের অংশে চারদিকে শত শত হীরার টুকরার পাশাপাশি থাকছে ১৫ ক্যারেটের দুই খণ্ড হীরা। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিআইপি, বিশিষ্টজন, গণমাধ্যমসহ প্রায় ৫০ জন অতিথি আমন্ত্রিত হয়েছেন।

জুতা জোড়ার ডিজাইনার ও জাদা দুবাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সৃজনশীল পরিচালক মারিয়া মাজারি বলেন, হীরা দিয়ে জুতা জোড়ার নকশা করেছে জাদা দুবাই। দুর্লভ হীরা ব্যবহার করা হয়েছে এতে।

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের ব্যয়বহুল জুতা তৈরির রেকর্ড ছিল ডেবি উইংহামের হাই হিল। এর মূল্য ছিল প্রায় ১৫ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার।